konark sun temple details in bengali বা কোনার্কের সূর্য মন্দির
-
কোনার্কের সূর্য মন্দির সম্পর্কে গুরুপ্তপূর্ন তথ্য:-
Konark sun Temple
Sun Temple information in bengali
কোনার্কের সূর্য মন্দির যেটি পূর্ব ভারতে ওড়িশা রাজ্যে পুরী জেলায় কোর্নাক শহরে অবস্থিত । ভারতে অনেক সূর্য মন্দির আছে তার মধ্যে এক অন্যতম মন্দির হল কোর্নাকের সূর্য মন্দির। সূর্য দেবতাকে গ্রহের রাজা বলা হয়। বিশ্বামিত্র দ্বারা রচিত ঋক বেদের তিন নম্বর মন্ডলে সূর্য দেবতার উল্লেখ আছে। সূর্য দেবতাকে আমরা রোজ সকালে জল অর্পণ করি।সূর্য দেবতা উপাসনা করলে কুন্ডলির দোষ দূর হয়। সূর্য ছাড়া আমাদের পৃথিবী অন্ধকার, সূর্য সব শক্তির উৎস। বেদ এবং পুরান অনুযায়ী সূর্যকে তেল চড়তে গেলে সনি মহারাজ সান্ত থাকে। সূর্য দেবতার সব থেকে বড় উৎসব হল ছট পূজা ,যেটি বিহার ঝাড়খন্ড ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই উৎসব মানা হয়। প্রাচীন ইতিহাসে বহু রাজা সূর্যের উপাসক ছিল। এমনকি তাদের সিংহাসনে সূর্য দেবতার মূর্তি থাকত। কোর্নাকের সূর্য মন্দির প্রাচীন শিল্পেকলার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ,এই মন্দির ইউরোপ বণিকদের একটি গুরুপ্তপূর্ন স্থান ছিল। এই মন্দিরটি ইউরোপ বণিকদের কাছে ব্ল্যাক প্যাগডা নামে পরিচিত। মন্দিরে শিল্পকলা এবং ভক্তির জন্য বহু পর্যটক প্রতিবছর দেখার জন্য আসে। আজ আমি আপনাদেরকে কোর্নাকের সূর্য মন্দির সমন্ধে গুরুপপূর্ন তথ্য আলোচনা করবো:-
1,কোর্নাকের সূর্য মন্দির কে তৈরি করেছিল?
Ans:-পূর্ব ভারতে অবস্থিত কোর্নাকের সূর্য মন্দির অবস্থিত।ইতিহাকারদের অনুযায়ী এই মন্দির পূর্ব গঞ্জ রাজবংশের রাজা প্রথম নরসিংহ বর্মন এই মন্দিরটি তৈরি করে ছিল।
2, সূর্য মন্দির কোথায় অবস্থিত?
Ans:-ভারতের সাতটি গুরুপ্তপূর্ন মন্দিরের মধ্যে কোর্নাকের সূর্য মন্দির একটি। এটি পূর্ব ভারতে ওড়িশা রাজ্যে পুরী জেলায় কোর্নাক শহরে অবস্থিত। এই মন্দিরটি ওডিশার রাজধানী ভুবেনস্বর থেকে 65 km দূরে এবং পুরী থেকে 35 km দূরে অবস্থিত।
Read more | |
---|---|
সব ধর্মের মন্দির | click here |
বিশ্বের সবথেকে বড় ভালবাসার উপহার | click here |
Birla Planetarium in Kolkata | click here |
ভারতীয় সৈন্যের পবিত্র মন্দির | click here |
Mom love son(short story ) | click here |
3,কোর্নাকের সূর্য মন্দির কে তৈরি করেন?
Ans:- ভারতের বিখ্যাত সূর্য মন্দির কোর্নাকের সূর্য মন্দির তৈরির পেছনে দুটি মত আছে। 1- ইতিহাসকারদের অনুযায়ী, 2-পরানিক কথা অনুযায়ী
1-ইতিহাসকারদের অনুযায়ী:-ইতিহাসকারদের অনুযায়ী পূর্ব গঙ্গা রাজবংশের রাজা নরসিংহ বর্মন (1238 -1264 খ্রিস্টাব্দে) 1250 খ্রিস্টাব্দে বাংলা জয়ের খুশিতে চাঁদরভগা নদীর তীরে প্রাচীন মিত্রাবনে অর্থাৎ আজকের কোর্নাকের এই মন্দিরটি প্রতিষ্টা করে।
2- পরানিক কথা অনুসারে:-শ্রী কৃষ্ণের পুত্র শোম্বা খুব সুন্দর ছিল। এক দিন নারদ স্তম্ভ কে ডাক দেয় কিন্তু শোম্বা তার সাড়া দেয় না এজন্য নারদের মনে রাগ হয়। সে প্রতিশোধ নেওয়া জন্য কৃষ্ণ যখন গোপীদের সঙ্গে লীলায় বেস্ত ছিলেন।সেই সময় নারদের নির্দেশ শোম্বা সেখানে প্রবেশ করে। তখন গোপীদের নজর সম্ভার
ওপর পড়ে কৃষ্ণ শোম্বা কে দেখে খুব রেগে যায় এবং তাকে অভিশাপ করে তার রূপ যেন হারিয়ে যায়। শোম্বা মনে দুঃখ পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে সে কোর্নাকের সমুদ্রের তীরে সে সূর্য দেবতার তপস্যা করে সূর্য দেবতা সন্তুষ্ট হয় এবং তাকে অভিশাপ থেকে মুক্ত করে দেয়। শোম্বা নিজের রূপ ফিরে পেয়ে সে খুশি হয়ে কোর্নাকের সূর্য মন্দির তৈরি করে।
3,কোর্নাকের সূর্য মন্দির কি দিয়ে তৈরি হয়েছে?
Ans:-এই বিশাল সূর্য মন্দিরটি ওড়িশা এবং দ্রাবিড় স্থাপত্য শিল্পের সংমিশ্রনে তৈরি হয়েছে। এই মন্দির টি ধুসর বেলে পাথরে তৈরি হয়েছে। মন্দিরের চূড়ায় পিরামিডের আকৃতি গুলি কলিঙ্গ রীতিতে তৈরি হয়েছে।
4,কোর্নাক মন্দিরের উচ্চতা কত?
Ans:-মন্দিরের বহু অংশ বালিতে ডাকা আছে ।এই মন্দিরের উচ্চতা 857 ফুট এবং মন্দিরের দেওয়ালের উচ্চতা 200ফুট ।
5,কোর্নাকের সূর্য মন্দির তৈরি করতে কত শ্রমিক লেগেছিল?
Ans:-এই বিশাল মন্দির তৈরি করতে 1200 শ্রমিক লেগেছিল।
6, কোর্নাকের সূর্য মন্দির তৈরি করতে কত দিন সময় লেগেছিল?
Ans:-কোর্নাকের সূর্য মন্দির তৈরি করতে 12 বছর সময় লেগেছিল।
*কোর্নাকের সূর্য মন্দিরের আকার একটি রথের মত।
যেনো সমুদ্র থেকে একটি বিশাল রথ উঠে এসেছে সূর্য দেবতার। রথের সামনে সাত জোড়া ঘোড়া আছে। সাতটি ঘোড়া যার অর্থ হল সপ্তাহে সাত দিন। এবং বারো চাকার ওপর পুরো মন্দিরটি তৈরি হয়েছে। বারো জোড়া চাকার অর্থ 24 পক্ষ । চাকার কারুকার্য দর্শকদের আকর্ষণের কেন্দ্র। প্রতিটি চাকায় একটি সূর্যের ঘড়ি আছে। চাকার গায়ে জটি দাড়ি আছে সেগুলি সময় নির্ধারণ করে । মন্দিরের প্রবেশ পথে রয়েছে বিশাল দুটি সিংহ মূর্তি, যারা দুটি হাতির সঙ্গে লড়াই করছে।
*বহু বছর ধরে এই মন্দির অবহেলায় পড়েছিল 1904 খ্রিস্টাব্দে বড়লাট লর্ড কার্জন এই মন্দিরটি উদ্ধার করেন।
*কোর্নাকের সূর্য মন্দির ভিতরে রয়েছে নাটমন্দির, ভোগমন্দির ও গর্ভগৃহ । এ ছাড়া এখানে রয়েছে নৃত্য কক্ষ ছায়াদেবীর মন্দির ও মায়া মন্দির। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে মন্দিরে প্রাঙ্গনে নৃত্য উৎসব হয়।
THANK YOU
Comments
Post a Comment